প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন 😵

 

প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন

একটি মেয়ে তার বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে তার মাকে বললো- "আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, আমি আর তার বাজে কথা সমর্থন করতে পারছি না। আমি তাকে হত্যা করতে চাই তবে আমি ভয় পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে, তুমি কি দয়া করে বেপারে সাহায্য করতে পারো মা?" মা উত্তর দিলেন- "হ্যাঁ আমার মেয়ে আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি, তবে এখানে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে! কন্যা জিজ্ঞাসা করলেন- "কি কাজ মা? আমি তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছি" মা বললেন- "ঠিক আছে, তাহলে শোনো": . তোমাকে তাঁর সাথে শান্তি স্থাপন করতে হবে, যাতে সে মারা যাওয়ার সময় কেউ তোমাকে সন্দেহ না করে। . তার কাছে তোমাকে তরুণ এবং আকর্ষণীয় দেখাতে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে। . তার ভালো যত্ন নিতে হবে এবং তার প্রতি সদয় এবং কৃতজ্ঞ হতে হবে। . তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে, প্রেমময় এবং হিংসা কম করতে হবে, বেশি মনোযোগী হতে হবে, আরও শ্রদ্ধাশীল এবং বাধ্য হতে হবে। . প্রয়োজনে নিজের টাকা তার জন্য ব্যয় করবে এবং রাগ করবে না, এমনকি যখন তিনি যদি তোমাকে কিছু দিতে অস্বীকার করেন তখনও। . তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলবে না, সবসময় শান্তি এবং ভালবাসা বজায় রাখার চেষ্টা করবে যাতে তিনি মারা গেলেও তোমাকে কেউ সন্দেহ না করে। মা জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি এগুলো সব করতে পারবে? মেয়ে জবাব দিল "হ্যা আমি পারবো"! মা বলল "ঠিক আছে এই পাউডারটা নিয়ে যাও এবং প্রতিদিন তার খাবারে খানিকটা পাউডার দিয়ে দিবে, এটা ধীরে ধীরে তাকে হত্যা করবে। ৩০ দিন পর মেয়েটি তার মায়ের কাছে ফিরে এসে বলল "মা, এখন আর আমার স্বামীকে হত্যার কোনও ইচ্ছা নেই। আমি এখন তাকে ভালোবাসতে পেরেছি কারণ সে পুরোপুরি বদলে গেছে, তিনি এখন আমার কল্পনার চেয়েও খুব ভালো স্বামী। এখন তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে আমি কী করতে পারি? আমাকে সাহায্য কর মা! মেয়েটি অত্যন্ত দুঃখের সুরে মিনতি করলেন। মা উত্তর দিলেন- ভয়ের কিছু নেই, তুমি চিন্তা করো না।

ঐদিন আমি যে পাউডার তোমাকে দিয়েছিলাম তা হল হলুদের গুঁড়া। এটি কখনই তাকে হত্যা করবে না। সত্যি কথা বলতে কি, তুমি নিজেই ছিলে এমন একটি বিষ যা ধীরে ধীরে তোমার স্বামীকে উত্তেজনা এবং হতাশাগ্রস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলে। যখন থেকে তুমি তাকে ভালবাসা, সম্মান এবং যত্ন নিতে শুরু করেছিলে তখন থেকেই তুমি তাকে একজন সুন্দর এবং আদর্শ স্বামীর রুপে পেতে শুরু করেছো। পুরুষরা সত্যই বদমেজাজি নয়, তবে তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক নির্ভর করে তাদের প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং অনুভূতির উপর। মেয়েরা যদি কেবল তাদের স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ভালোবাসা, যত্নবান এবং প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে পারে তাহলে স্বামীরাও তাদের পাশে থাকবে ১০০% কোন মহিলা নিজ স্বামীর অবাধ্য হওয়াও কবীরা গুনাহ্ অন্যতম। তাই তো আল্লাহ্ তাআলা জাতীয় মহিলাদের জন্য পর্যায়ক্রমে কয়েকটি শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেন:
  «وَاللَّاتِيْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَهُنَّ فَعِظُوْهُنَّ وَاهْجُرُوْهُنَّ فِيْ الْـمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوْهُنَّ، فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوْا عَلَيْهِنَّ سَبِيْلًا، إِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيْرًا» 
‘‘আর যে নারীদের তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা করো তাদেরকে সদুপদেশ দাও তথা আল্লাহ্ তাআলার আযাবের ভয়-ভীতি দেখাও, তাদেরকে শয্যায় পরিত্যাগ করো এবং প্রয়োজনে তাদেরকে প্রহার করো। এতে করে তারা তোমাদের অনুগত হয়ে গেলে তাদের ব্যাপারে আর অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করো না।

নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’য়ালাসমুন্নত মহীয়ান (নিসা’: ৩৪)

 

সংগৃহীত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

বেশি বার পড়া হয়েছে

একজন রিক্সা-ওয়ালা