গল্পঃ "জ্বীন প্রতিবেশী"
পর্বঃ ০৪
রাত প্রায় আড়াইটা বাজে। আহমাদ আর আফসানা ছাদের ট্যাংকির উপর বসে আছে। আফসানা তার ভাইকে কিছু বলতে চাচ্ছে। আহমাদ তার হাতের বাঁশিটা বাজাতে নেয়। " ভাইজান, একটা বলবো?"
-- কি কথা বল?
আফসানা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল "আপনার কি ঠিক হয়েছে এতো জলদি "উনার" সাথে দেখা করা? আব্বুজানের কাছে এই খবর পৌছালে কি হবে ভেবে দেখেছেন আপনি? ব্যাপার টা নিয়ে খুব সমস্যায় পরে যেতে আব্বু, আম্মি কে আমাদের সমাজে।"
-- "সমস্যার কিছু নেই। এখানে আমরা চারজন ছাড়া আর কেউ আমাদের অস্তিত্ব টের পাবেনা। না কোনো ইনসান, না কোনো জ্বীন!!
ভাইয়ের কথায় পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছেনা আফসানা। অনেক আগে তাদের বংশে এমন কাহিনী আরেকবার ঘটেছিলো। সেবার অনেক কস্টে তাদের আব্বু আর দাদাজান মিলে সব কিছু ঠিক করেছিলেন। আবার যদি সময়ের আগে তার ভাই এমন ভুল করে ফেলে তাহলে এবার তারা আর ফিরে যেতে পারবেনা তাদের সমাজে।
-- কি কথা বল?
আফসানা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল "আপনার কি ঠিক হয়েছে এতো জলদি "উনার" সাথে দেখা করা? আব্বুজানের কাছে এই খবর পৌছালে কি হবে ভেবে দেখেছেন আপনি? ব্যাপার টা নিয়ে খুব সমস্যায় পরে যেতে আব্বু, আম্মি কে আমাদের সমাজে।"
-- "সমস্যার কিছু নেই। এখানে আমরা চারজন ছাড়া আর কেউ আমাদের অস্তিত্ব টের পাবেনা। না কোনো ইনসান, না কোনো জ্বীন!!
ভাইয়ের কথায় পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছেনা আফসানা। অনেক আগে তাদের বংশে এমন কাহিনী আরেকবার ঘটেছিলো। সেবার অনেক কস্টে তাদের আব্বু আর দাদাজান মিলে সব কিছু ঠিক করেছিলেন। আবার যদি সময়ের আগে তার ভাই এমন ভুল করে ফেলে তাহলে এবার তারা আর ফিরে যেতে পারবেনা তাদের সমাজে।
--" দেখ বোন,আমি "ওর" জন্য তিন'শ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। এটা আব্বুজান,আম্মি খুব ভালো ভাবেই যানেন।তাদের অনুমতি নিয়েইতো এখানে এসেছি। আমি অনেক চেস্টা করেছি ওকে দেখা না দেয়ার। কিন্তু আর কতো দিন অদৃশ্য হয়ে ওকে দেখে যাবো?"
অনিলার চেহারা টা আহমাদের চোখে ভেসে উঠে। আজ সন্ধায় হলুদ পোষাকে কি সুন্দর লাগছিলো ওকে!!
আফসানা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। ভাইয়ের মিটি মিটি হাসির কারন বুঝতে চেস্টা করে। ওদের জ্বীনজাতির মাঝে মানুষের মনের ভাবনা পড়ে ফেলার ক্ষমতা তো আছে, কিন্তু নিজেদের কারো মনের ভাবনা বুঝে ফেলার শক্তি তাদের নেই।
আফসানা দেখে ছাদের উপর একটা কালো কুকুর হাটছে। আফসানা হাসি দিয়ে কুকুরটাকে বলে "চাচাজান, ওখানে কি করছেন? এদিকে আসুন। কুকুরটা আফসানার ডাক শুনে একলাফে ট্যাংকিতে উঠে আহমাদের পাশে যেয়ে দাঁড়ায়। সে মানুষ রুপে আসে।আফসানা তাকে মানুষ রূপে দেখে হাসি দিয়ে বলে "চাচাজান, আপনাকে এই বাড়ির কেয়ারটেকার এর রুপে ভালোই মানিয়েছে। তাইনা ভাইজান?"
বোনের কথা শুনে আহমাদ হাসি দিয়ে তাদের দূর সম্পর্কের চাচা রাশিদ বেগ এর দিকে তাকায়।
দু'শ বছর ধরে তিনি আহমাদ দের পরিবারের সাথেই আছেন। আহমাদের বাবা সালমান বেগ উনাকে তার সন্তানদের সাথে এখানে পাঠিয়েছেন।
-- "কি করছেন দুই ভাই বোন এখানে বসে? রাশিদ বেগ একটা রেশম কাপরের থলে খুলে আহমাদ আর আফসানার সামনে রাখতে রাখতে বলল। থলের মধ্যে কিছু হাড় আর মিষ্টি রাখা।
আহমাদ তার চাচাকে বলল, "চাচা ভালোই হয়েছে এগুলি এনেছেন। কয়েক দিন থেকে কেবল মানুষ জ্বাতির হাতে বানানো খাবার খাচ্ছি।" আহমাদ হাড্ডি গুলো তার হাত দিয়ে ছুয়ে দেয়, আর সাথে সাথেই সেগুলি বিভিন্ন রকম মশলাদার রান্না করা মাংসে রূপ নেয়। আহমাদ মনে মনে মহান আল্লাহ জ্বিন জাতির খাবারের ব্যাপার টা কত সহজ করে দিয়েছেন। সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে।
অনিলার চেহারা টা আহমাদের চোখে ভেসে উঠে। আজ সন্ধায় হলুদ পোষাকে কি সুন্দর লাগছিলো ওকে!!
আফসানা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। ভাইয়ের মিটি মিটি হাসির কারন বুঝতে চেস্টা করে। ওদের জ্বীনজাতির মাঝে মানুষের মনের ভাবনা পড়ে ফেলার ক্ষমতা তো আছে, কিন্তু নিজেদের কারো মনের ভাবনা বুঝে ফেলার শক্তি তাদের নেই।
আফসানা দেখে ছাদের উপর একটা কালো কুকুর হাটছে। আফসানা হাসি দিয়ে কুকুরটাকে বলে "চাচাজান, ওখানে কি করছেন? এদিকে আসুন। কুকুরটা আফসানার ডাক শুনে একলাফে ট্যাংকিতে উঠে আহমাদের পাশে যেয়ে দাঁড়ায়। সে মানুষ রুপে আসে।আফসানা তাকে মানুষ রূপে দেখে হাসি দিয়ে বলে "চাচাজান, আপনাকে এই বাড়ির কেয়ারটেকার এর রুপে ভালোই মানিয়েছে। তাইনা ভাইজান?"
বোনের কথা শুনে আহমাদ হাসি দিয়ে তাদের দূর সম্পর্কের চাচা রাশিদ বেগ এর দিকে তাকায়।
দু'শ বছর ধরে তিনি আহমাদ দের পরিবারের সাথেই আছেন। আহমাদের বাবা সালমান বেগ উনাকে তার সন্তানদের সাথে এখানে পাঠিয়েছেন।
-- "কি করছেন দুই ভাই বোন এখানে বসে? রাশিদ বেগ একটা রেশম কাপরের থলে খুলে আহমাদ আর আফসানার সামনে রাখতে রাখতে বলল। থলের মধ্যে কিছু হাড় আর মিষ্টি রাখা।
আহমাদ তার চাচাকে বলল, "চাচা ভালোই হয়েছে এগুলি এনেছেন। কয়েক দিন থেকে কেবল মানুষ জ্বাতির হাতে বানানো খাবার খাচ্ছি।" আহমাদ হাড্ডি গুলো তার হাত দিয়ে ছুয়ে দেয়, আর সাথে সাথেই সেগুলি বিভিন্ন রকম মশলাদার রান্না করা মাংসে রূপ নেয়। আহমাদ মনে মনে মহান আল্লাহ জ্বিন জাতির খাবারের ব্যাপার টা কত সহজ করে দিয়েছেন। সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে।
ফজরের অাজান শুনে লাবনি ইসলামের ঘুম ভেংগে যায়। আজ শুক্রবার, তাই অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই। লাবনি ফজর নামাজ পরে অনিলার রুমে যায়। সে মেয়ের মাথা কাছে যেয়ে দাড়ায়। কি নিস্পাপ একটা মুখ মেয়েটার!
এই মেয়েকে তিনি আঠারো বছর যাবৎ বুকে পিঠে করে বড় করেছেন। কখনো অফুরন্ত ভালোবাসা, স্নেহ দিয়েছেন, কখনো শাসন করে আবার কাছে টেনে নিয়েছেন। কিন্তু বেশিদিন সেটা আর করা হবেনা তার।খুব দ্রুত সময় ফুরিয়ে আসছে এই মমতার বাধঁন ছিন্ন হওয়ার!
এই মেয়েকে তিনি আঠারো বছর যাবৎ বুকে পিঠে করে বড় করেছেন। কখনো অফুরন্ত ভালোবাসা, স্নেহ দিয়েছেন, কখনো শাসন করে আবার কাছে টেনে নিয়েছেন। কিন্তু বেশিদিন সেটা আর করা হবেনা তার।খুব দ্রুত সময় ফুরিয়ে আসছে এই মমতার বাধঁন ছিন্ন হওয়ার!
লাবনি ইসলামের চোখ বেয়ে টপ টপ করে পানি গড়িয়ে পরে। তিনি অনিলার রুমের দরজা টেনে দিয়ে নিজের রুমে চলে যান। বিছানার উপর বালিশটাকে উচু করে আধশোয়া হয়ে বসেন।
চোখবুজে ধীরে ধীরে গভীর থেকে নিঃস্বাস নেন তিনি।
চোখবুজে ধীরে ধীরে গভীর থেকে নিঃস্বাস নেন তিনি।
লাবনি ইসলাম আর আশরাফ হোসেনের বিয়ে হয় পঁচিশ বছর আগে। দুজনেই খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। লাবনিদের আদি নিবাস এক পাহাড়ি অঞ্চলে। তার দাদার পূর্বপুরুষরা সেখানে বহু আগে থেকে নিজেদের বাড়ি, জমি, ব্যবসা শুরু করেছিলেন। লাবনি ইসলামের বাবা ওই পাহারী অঞ্চলের খুব গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ওই অঞ্চলে তার নিজের গড়ে তোলা মসজিদের ইমাম ছিলেন তিনি। সেই মসজিদে অনেক মানুষ দূর দূরান্ত থেকে এসে নামাজ আদায় করতে আসতেন।
সেই সব মানুষের মাঝে একজন ছিলেন যার সাথে খুব ভালো মিত্রতা ছিলো লাবনি ইসলামের বাবা আজহার ইসলামের। সেই ব্যাক্তিটি কে দেখলে স্বাভাবিক মানুষ মনে হলেও আসলে তিনি কোন মানুষ ছিলেন না। তিনি আসলে ছিলেন জ্বিন জাতিদের একজন।
তার মানুষ না হওয়ার ব্যপারটা আজহার ইসলামের কাছে কখনোই গোপন করেননি তিনি। এই মসজিদে নামাজ আদায় করার পর সারা রাত জেগে কোরান তেলাওয়াত করতেন তিনি। কখনো কখনো সেখানেই ঘুমিয়ে পড়তেন। একদিন রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে উঠার সময় লাবনি ইসলামের বাবার কানে একজনের খুব সুন্দর করে তেলাওয়াতের সুর ভেসে আসে।
আজহার ইসলাম চমকে উঠেন। কারন মসজিদে সেদিন তিনি একাই ছিলেন। মসজিদের মূল দরজাও নিজ হাতে আটকিয়ে এসেছিলেন তিনি। কারো ঢুকে পড়ার কথাও না। তিনি আস্তে আস্তে এগিয়ে যেয়ে দেখলেন বিশাল লম্বা, সাদা টুপি, সাদা জুব্বা পড়া, মুখে সাদা দাড়ি ওয়ালা একজন মানুষ বসে কুরআন পড়ছে। আজহার ইসলামের আর বুঝতে বাকি থাকলোনা যে তিনি কাকে দেখছেন।তিনি সেখানেই এক চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান হয়ে এভাবে কতক্ষণ ছিলেন তিনি বলতে পারবেন না।
তিনি যখন চোখ খুলেন তখন দেখতে পান একটা বিশাল বড় পালংকের এক পাশে শুয়ে আছেন তিনি। আর তার ঠিক সামনেই ওই লোক দাঁড়িয়ে আছেন যাকে তিনি দেখেছিলেন বেহুশ হওয়ার আগে। আজহার ইসলামের গলা শুকিয়ে যায়। তিনি ভাবেন আর হয়তো কখনো তার পরিবারে কাছে ফিরে যাওয়া হবেনা।
-- "আসসালামু আলাকুম ইমাম সাহেব।"
লোকটা আজহার ইসলামকে হাসি মুখে সালাম দেয়। কিন্তু আজহার ইসলাম এতো টাই ভয় পাচ্ছিলেন যে তার মনে হচ্ছে তিনি আবার বেহুঁশ হয়ে যাবেন। তাকে কোথায় নিয়ে আসা হয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না। ঘরের চার পাশে চোখ বুলান তিনি। ঘরে আলো খুব কম। বিশাল বিশাল তিনটি জানালা আছে। সেগুলিতে খুব ভারি কোন কাপড়ের পর্দা ঝুলানো। চারপাশে খুব মিষ্টি একটা ঘ্রাণ।
-- "শরীর কেমন এখন আপনার ইমাম সাহেব?"
লোক টি আবার জিজ্ঞাসা করে।
আজহার ইসলাম চমকে উঠেন। কারন মসজিদে সেদিন তিনি একাই ছিলেন। মসজিদের মূল দরজাও নিজ হাতে আটকিয়ে এসেছিলেন তিনি। কারো ঢুকে পড়ার কথাও না। তিনি আস্তে আস্তে এগিয়ে যেয়ে দেখলেন বিশাল লম্বা, সাদা টুপি, সাদা জুব্বা পড়া, মুখে সাদা দাড়ি ওয়ালা একজন মানুষ বসে কুরআন পড়ছে। আজহার ইসলামের আর বুঝতে বাকি থাকলোনা যে তিনি কাকে দেখছেন।তিনি সেখানেই এক চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান হয়ে এভাবে কতক্ষণ ছিলেন তিনি বলতে পারবেন না।
তিনি যখন চোখ খুলেন তখন দেখতে পান একটা বিশাল বড় পালংকের এক পাশে শুয়ে আছেন তিনি। আর তার ঠিক সামনেই ওই লোক দাঁড়িয়ে আছেন যাকে তিনি দেখেছিলেন বেহুশ হওয়ার আগে। আজহার ইসলামের গলা শুকিয়ে যায়। তিনি ভাবেন আর হয়তো কখনো তার পরিবারে কাছে ফিরে যাওয়া হবেনা।
-- "আসসালামু আলাকুম ইমাম সাহেব।"
লোকটা আজহার ইসলামকে হাসি মুখে সালাম দেয়। কিন্তু আজহার ইসলাম এতো টাই ভয় পাচ্ছিলেন যে তার মনে হচ্ছে তিনি আবার বেহুঁশ হয়ে যাবেন। তাকে কোথায় নিয়ে আসা হয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না। ঘরের চার পাশে চোখ বুলান তিনি। ঘরে আলো খুব কম। বিশাল বিশাল তিনটি জানালা আছে। সেগুলিতে খুব ভারি কোন কাপড়ের পর্দা ঝুলানো। চারপাশে খুব মিষ্টি একটা ঘ্রাণ।
-- "শরীর কেমন এখন আপনার ইমাম সাহেব?"
লোক টি আবার জিজ্ঞাসা করে।
আজহার ইসলাম এখনও কোনো উত্তর দেন না। তিনি ছোটবেলায় তার দাদীর কাছে শুনেছেন যে জ্বীন দের নজর একবার নাকি যার উপর পড়ে হয়তোবা তাকে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলে অথবা তাকে ওদের কাছে নিয়ে যায়, আর কখনো পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়না।
--"আমি আপনার কোনো ক্ষতি করবোনা৷ ভয় পাবেন না দয়া করে৷ আপনাকে আপনার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসবো। "
এবার আজহার ইসলাম একটু সাহস ফিরে পান৷ তিনি খুব আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করেন
-- "কে আপনি? আমাকে আপনি কোথায় নিয়ে এসেছেন?"
তার আওয়াজ যেন তার নিজের কাছেই পৌছায় না৷
লোকটি আজহার ইসলামের দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলেন,
-- "আমি আপনার ই মত আল্লাহর একজন সৃষ্টি। আমার নাম সোলায়মান বেগ৷ এই অঞ্চলের জ্বীন সমাজের প্রধান আমি। আপনি এখন আমার প্রাসাদে আছেন।"
লোকটার কথা শুনে আজহার ইসলাম এর হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে৷ তিনি জিজ্ঞেস করেন,
--" আমাকে এখানে নিয়ে আসার কারণ কী?"
--"আপনি আমাকে হটাৎ দেখে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন, সঠিক সময়ে আপনার জ্ঞান না ফিরলে বড় বিপদ হতে পারতো৷ মসজিদে আর কেউ ছিলোনা বলে আমি আপনাকে এখানে এনেছি৷ আপনার শরীর একটু ভালো হলেই আপনাকে আবার পৌছে দিয়ে আসবো৷ আপনি এখন বিশ্রাম করুন।"
এ কথা বলে লোক টি ঘর থেকে বের হয়ে যায়৷৷
--"আমি আপনার কোনো ক্ষতি করবোনা৷ ভয় পাবেন না দয়া করে৷ আপনাকে আপনার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসবো। "
এবার আজহার ইসলাম একটু সাহস ফিরে পান৷ তিনি খুব আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করেন
-- "কে আপনি? আমাকে আপনি কোথায় নিয়ে এসেছেন?"
তার আওয়াজ যেন তার নিজের কাছেই পৌছায় না৷
লোকটি আজহার ইসলামের দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলেন,
-- "আমি আপনার ই মত আল্লাহর একজন সৃষ্টি। আমার নাম সোলায়মান বেগ৷ এই অঞ্চলের জ্বীন সমাজের প্রধান আমি। আপনি এখন আমার প্রাসাদে আছেন।"
লোকটার কথা শুনে আজহার ইসলাম এর হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে৷ তিনি জিজ্ঞেস করেন,
--" আমাকে এখানে নিয়ে আসার কারণ কী?"
--"আপনি আমাকে হটাৎ দেখে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন, সঠিক সময়ে আপনার জ্ঞান না ফিরলে বড় বিপদ হতে পারতো৷ মসজিদে আর কেউ ছিলোনা বলে আমি আপনাকে এখানে এনেছি৷ আপনার শরীর একটু ভালো হলেই আপনাকে আবার পৌছে দিয়ে আসবো৷ আপনি এখন বিশ্রাম করুন।"
এ কথা বলে লোক টি ঘর থেকে বের হয়ে যায়৷৷
চলবে..........
0 মন্তব্যসমূহ