নি:সঙ্গ অভিযাত্রী
(৪র্থ পর্ব)
*************************************
সারাদিন এর ক্লান্তি শেষে রাতে বাসায় ফিরে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে রামিন।
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখে রাকা মারা যাচ্ছে। স্বপ্নের মাঝেই রাকার জন্য কষ্ট
হতে থাকে রামিনের। স্বপ্নটা দেখেই ঘুম ভেঙ্গে যায় রামিনের। চোখ খুলে দেখে
সে প্রধান বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে। অবাক হয় রামিন। এটাও
স্বপ্ন কিনা বুঝতে পারেনা। চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা লাগে রামিনের। ক্যাপ্সুলের
মত একটা জায়গায় সে শুয়ে আছে এবং তার পুরো শরীর শক্ত বাঁধা। অনেক চেষ্টা
করেও কোনোভাবে শরীরটাকে একটু নাড়াতে পারলনা রামিন।অনেক কষ্টে সে বুঝতে পারল তাকে একটু একটু করে ইথানল-৬ দেওয়া হচ্ছে। এজন্যেই শরীর এতো ভারী হয়ে আছে আর সবকিছু ঝাপসা লাগছে। কিন্তু কে দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে তার কিছুই আর চিন্তা করতে পারলনা রামিন। একটু পরেই পরিচিত একটা মুখের অবয়ব বুঝতে পারে রামিন। কিন্তু ইথানল-৬ এর জন্যে মাথাটাও একদমই আর কাজ করছেনা। কিন্তু আস্তে আস্তে সব একটু পরিস্কার লাগে রামিনের চোখে। হয়ত ইথানল-৬ দেওয়া বন্ধ হয়েছে। যখন পরিচিত মুখটা স্পষ্ট বুঝতে পারে রামিন আকাশ থেকে পড়ার মত অবস্থা হয় তার। সে আর কেউ নয়, প্রধান বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ইমি প্রিনিস। হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে রামিন।
ইমি প্রিনিস তার শান্ত নিরুত্তাপ কন্ঠে বলতে থাকে, “রামিন,তুমি নিশ্চয় অবাক হয়েছ এখানে আমাকে এবং তোমাকে এভাবে দেখে। তোমাকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন করার জন্যে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং এখন থেকে আমি তোমাকে নিয়ে যা যা করব তার জন্যেও আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। রামিন বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকে। অনেক কষ্টে গলার স্বরকে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রেখে কোনমতে জিজ্ঞেস করে, “কি করা হবে আমাকে নিয়ে?”
সায়েন্স ফিকশন |
0 মন্তব্যসমূহ