এই ১০টি ফজিলতপূর্ণ আমল যা আপনার সারাবছরের_ই দৈনন্দিন রুটিনে থাকা উচিত!
▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬
❖ আমল- (১)
প্রত্যেক
ফরজ নামাজ শেষে "আয়াতুল কুরসি' পাঠ করা।
ফজিলতঃ-
আবু
উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূল সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন,
“যে
ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সলাতের পর আয়াতুল কুরসী
পাঠ করে, মৃত্যু ছাড়া আর কোন কিছুই
তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।”
[নাসাঈ,
ইবনু হিব্বান, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী]
❖আমলঃ- (২)
মাত্র
বারো রাকাত; প্রতিদান হল "জান্নাতের মহল"
আম্মাজান
আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ১২
রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নিয়মিত আদায় করবে তার জন্য আল্লাহতায়ালা জান্নাতে মহল নির্মান করবেন।
৪
রাকাত যোহরের পূর্বে, ২ রাকাত যোহরের
পর, ২ রাকাত মাগরিবের
পর, ২ রাকাত ইশার
পর, ২ রাকাত ফজরের
পূর্বে। [সুনানে নাসায়ী, তিরমিযী]
❖আমল-(৩)
প্রত্যেক
ওযুর পর কালেমা শাহাদাত
পাঠ করা।
"উচ্চারনঃ-আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু
ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু'
ফজিলতঃ-
"যে
ব্যাক্তি ওযু করার পড় কালিমায়ে শাহাদাত
পাঠ করবে ঐ ব্যাক্তির জন্য
জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং যে
কোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে: [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-২৩৪]
❖আমল- (৪)
প্রত্যেক
ফরজ নামাজ শেষেঃ-
৩৩
বার সুবহানাল্লাহ,
৩৩
বার আলহামদুলিল্লাহ্,
৩৩
বার আল্লাহু আকবার
এবং
১বার এই দোয়াটি পড়া
লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু
লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ
করে সর্ব মোট ১০০বার পূর্ণ করবে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হইয়া যাবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনার
সমতুল্য হয় (মুসলিম, মিশকাত তাহকীক ৯৬৭/৩০৫)
❖আমল- (৫)
প্রত্যেক
সকাল ও সন্ধ্যায় সাইয়িদুল
ইস্তিগফার পড়া। ক্ষমার শ্রেষ্ঠ দুয়া।
রাসূলুল্লাহ
(সঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ়
বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ
পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻰْ ﻵ ﺇِﻟﻪَ ﺇﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻰْ ﻭَﺃَﻧَﺎ
ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻣَﺎ
ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻰْ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟِﻰْ،
ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮْﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ -
উচ্চারণ
: আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা
ইল্লা আনতা খলাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন
শাররি মা সানা‘তু।
আবুউলাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বি যাম্বী ফাগফিরলী
ফা ইন্নাহূ লা~ ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
[সহীহ
বুখারী ৬৩০৬]
❖আমল-(৬)
সুরা
ইখলাস পাঠ করা – ১০ বার, না
পারলে অন্তত ৩ বার।
ফজিলতঃ-
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা আল-ইখলাস পড়তে
শুনেছেন। অতঃপর সকালে মহানবী (সা.)-কে এ বিষয়টি
অবহিত করা হলো। মহানবী (সা.) তখন বলেন, ওই সত্তার শপথ,
যার কুদরতের হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন
মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান।
(সহিহ বুখারি : ৫০১৩, আবু দাউদ : ১৪৬১, নাসায়ি : ২/১৭১, মুআত্তা
মালেক : ১/২০৮
❖আমল-(৭)
১০০
বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি.
যে
ব্যাক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০
বার করে ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী’
পড়বে।তার গোনাহ মাফ হইয়া যাইবে,যদিও তা সাগরের ফেনা
থেকেও বেশী হয়’।
(বুখারী
ও মুসলিম)
❖আমল-(৮)
প্রতিরাতে
সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
[সহিহ
তারগিব,হাকিম ৩৮৩৯]
❖আমল-(৯)
সুরা
বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – রাতে ঘুমানোর আগে ১ বার (বিঃ
দ্রঃ অনেকে মুখস্ত করেন নি। দ্রুত করে নিবেন।
(এটার
ফজিলত তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমতুল্য!!! আর কি চাই
বলুন! এত মর্যাদাপূর্ণ ইবাদাত,
না করতে পারলেও করার সমান সওয়াব হয়ে যাবে এটা পড়লেই!! সুবহান আল্লাহ্। কতই না বরকতময় এই
দুই আয়াত! )
❖আমল-(১০)
রাতের_বেলা_একশত_আয়াত_তেলাওয়াত
ফজিলত
:
তামীম
দারী রা.থেকে বর্ণিত
, নবী(সা:)বলেছেন,
যে
ব্যক্তি একরাতে ১০০টি আয়াত তেলাওয়াত করবে,সেই ব্যক্তিরর আমলনামায় ঐ রাতের ইবাদত
বন্দেগী ও নফল সলাত
এর সোয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে।
সূত্র
আহমদ:১৬৯৫৮,নাসাঈ কুরবা:১০৫৫৩, ত্বাবারানী:১২৩৮,সিলসিলাহ সহীহ :৬৪৪
Option 1 :
সুরা ইখলাস
(ক্বুলহু
আল্লাহ)
২৫
বার
পরলে
১০০
আয়াত
পড়া
হয়,,
এই ফজিলত
পূর্ণ
আমল
টি
করবেনতো??
OPTION 2 :
* সূরা
মুলক----------৩০ আয়াত।
* সূরা
কাহাফ-----১ম ১০আয়াত।
* সূরা
ফাতিহা---------- ৭আয়াত।
* সূরা
কাফিরুন--------৬আয়াত।
* সূরা
ইখলাস(৩বার)------১২আয়াত।
* সূরা
ফালাক(৩বার) ----১৫ আয়াত।
* সূরা
নাস(৩বার)----------১৮আয়াত।
* বাকারার
শেষ (২আয়াত)--------২ আয়াত
সর্বমোট______১০০আয়াত হয়ে গেলো.
❖বি:দ্র:
যেকোন
সূরার
যেকোন
আয়াত
হলেই
হবে।
উপরের
আয়াত
গুলো
দেয়ার
কারন
হলো
ঐগুলোর
আলাদা
কিছু
ফজিলত
ও
আছে।
শেয়ার করে আপনার টাইম
লাইনে রেখে দিন ইনশাআল্লাহ।
Salat নামাজ
0 মন্তব্যসমূহ